ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে উপজেলা পদ্মা নদীতে বন্যার পানি বিপদসীমার ৫৩ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে উপজেলা পদ্মা নদী ঘেষে চর ঝাউকান্দা ইউনিয়ন, চরহরিরামপুর ইউনিয়ন ও গাজীরটেক ইউনিয়ন সহ সদর ইউনিয়নের ক’য়েক প্রামের শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। একই সাথে গ্রামীণ জনপদের বেশীরভাগ কাঁচা রাস্তাগুলো বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা সদরে পদ্মার পার এলাকা বালিয়া ডাঙ্গী গ্রাম ও ফাজেলাখার ডাঙ্গী গ্রামের বন্যা প্রতিরোধক বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশে ধ্বস অব্যাহত রয়েছে বলেও স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছেন। জানা যায়, বন্যা পরিস্থিতি অবনতির ফলে উপজেলার চর ঝাউকান্দা ইউনিয়নের চর কালিকাপুর মৌজা, চর কল্যানপুর মৌজা ও চর গোপালপুর মৌজার মাঠী জমিতে বসবাসরত প্রায় ৪শ’ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ওইসব গ্রামীন জনপথের ফসলী মাঠ, বসতবাড়ী, রাস্তাঘাট ও মসজিদগুলো পানিতে ডুবে রয়েছে। ফলে চরাঞ্চলের শত শত দিন মজুর কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। শুক্রবার বিকেলে চরঝাউকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ হোসেন মৃধা জানান, দিনভর ট্রলারযোগে ইউনিয়ন জুড়ে বিচরন করেছি। পদ্মা নদী জুড়ে ইউনিয়নটি বেষ্টিত হওয়ায় বন্যার পানি প্রতিটি বসত বাড়ীতে ঢুকে পড়েছে। এমনকি ইউনিয়নরে আশ্রয়ণ প্রকল্প ছাড়া সমস্ত গ্রামীন রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে রয়েছে। ফলে একমাত্র নৌকা বা ট্রলার দিয়ে বন্যা কবলিতরা দৈনন্দিন জীবনে চলাফেরা করছেন বলেও তিনি জানান। তিনি আরও জানান, বন্যার পানির সাথে ভেসে আসা কচুরী পানার মধ্যে থেকে বসত বাড়ীতে উঠে আসছে পহারী জাতে রাসেল ভাইপার সাপ। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওই সর্প দংশনে ইউনিয়নের গোপালপুর মৌজার আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত সেলিম হোসেন (৩৫) মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তাই বন্যার সাথে সাপের উপদ্রবে চরবাসী আরও আতঙ্কিত রয়েছে বলেও তিনি জানান। এছাড়া বন্যা পরিস্থিতি অবনতির ফলে উপজেলা সদর ইউনিয়নের হাজী ডাঙ্গী গ্রাম, মাথাভাঙ্গা, বালিয়া ডাঙ্গী, ফাজেলাখার ডাঙ্গী, টিলারচর গ্রামের প্রায় ৩শ’ পরিবার গাজীরটেক ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৩শ’ পরিবার ও চরহরিরামপুর ইউনিয়নের আরও প্রায় ৩শ’ পরিবার সহ মোট প্রায় এক হাজার ৩শ’ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি অবনতির ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা বলেন, আমরা সরকারিভাবে যা বরাদ্দ পাচ্ছি তাৎক্ষণিকভাবে তাই নিয়ে বন্যা দুর্গত পরিবারের পাশে দাড়াচ্ছি। আগামি সপ্তাহে বরাদ্দ আসা মাত্র দুর্গত পরিবারে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস